অলরাইট, কল্পনা করুন- কুয়েট থেকে পাশ করা কয়েকজন মেধাবী তরুণ একদিন ইন্টারনেটে স্ক্রল করছে, কিন্তু তারা কী দেখছে? মানুষজন যেখান থেকে পারছে অনলাইনের কোর্স কিনছে, কিন্তু তেমন কেউই সেগুলো শেষ করছে না। ঠিক যেন রোববারে ডায়েট শুরু করে সোমবার দুপুরেই শেষ। এই তরুণেরা, এদেরকে ওস্তাদের দলই ডাকছি, তারা ঠিক করলো যে এসব হাল ছেড়ে দেয়া অনেক হয়েছে, এবার এটা ঠিক করার পালা।
আর এখানেই জাদুটার শুরু। “ওস্তাদ,” অনলাইন কোর্স শেষ না করার হতাশা থেকে সৃষ্টি হয়ে যেন একটা ডিজিটাল সুপারহিরোর মত উড়ে এসে বসলো! এর নেতৃত্বে আছে আবদুল্লাহ মুসাব্বির, ফাহিম সিদ্দিকী, মৃদুল খন্দকার, শরিফুল মুবিন এবং সৌরভ বড়ুয়া। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে স্কিল বিল্ডিং বা দক্ষতা তৈরিকে ছেলেখেলার মত সহজ করে তোলা।
তো, তাদের রহস্যটা কী? লাইভ ক্লাস, বন্ধুরা! ওসব রেকর্ড করা ভিডিও দিয়ে আর কতো? ওস্তাদ আপনাকে ইন্ডাস্ট্রির সব এক্সপার্টদের সাথে যুক্ত করে দেবে, একদম লাইভ। আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন বা মিমও শেয়ার করতে পারবেন, যেটা আপনার ইচ্ছা! আর সবচেয়ে সেরা দিক? আপনি আপনার বাসায় আরামে বসেই সব করতে পারছেন।
এখন একটু ট্যাংকে ওস্তাদের পিচের দিকে নজর দিই। তারা এমনভাবে ট্যাংকে এলো, যেন ট্যাংকটা তাদেরই! হবেই না বা কেন? তাদের ছোট্ট শুরু থেকে এগিয়ে তারা আজ বহুদূর। হ্যাঁ, যাত্রায় বাঁধাবিপত্তি ছিলো, কিন্তু তা তো সবারই থাকে। এটা স্টার্টআপের জার্নিরই একটা অংশ।
আর তাদের পিচ? একদম স্মুথ! এই ফাউন্ডাররা তাদের বিষয়টা নিয়ে ভালো জ্ঞ্যান রাখে, এটা স্পষ্ট। তাদের প্ল্যাটফর্মটা এ-আই পরিচালিত, এবং খুবই চমৎকার। আর জানেন, ১৬০০০ মানুষ এরই মধ্যে তাদের কোর্স শেষ করে ফেলেছেন! তাদের কমপ্লিশন রেইট হচ্ছে ৯০%! ভাবা যায়! আমি তো এক প্যাকেট চিপসও এক বসায় শেষ করতে পারি না!
কিন্তু খেলাটা জমেছে আরেক জায়গায়। তারা মাত্র ১.২৫% ইক্যুইটির বদলে চাইছে ১ কোটি টাকা! স্বপ্ন আসলেই বেশ বড়ো! আমাদের শার্করাও পাকা খেলোয়াড়, কঠিন সব প্রশ্ন ছুঁড়তে শুরু করলেন। প্ল্যাটফর্মটা কীভাবে কাজ করে? কে ব্যবহার করছে? আর সবচেয়ে বড়ো বিষয়, ওস্তাদ বাকি সবার চেয়ে কীভাবে আলাদা?
কিন্তু না, ওস্তাদ ভয় পায়নি। তারা সব উত্তর নিয়েই এসেছে, এবং সব বলতেও প্রস্তুত। তারা এক ফাঁকে এই বিশাল খবরটাও দিয়ে দিলো যে তারা ৪০০০ মানুষকে চাকরি পেতে সাহায্য করেছে। এক্সাইটিং, না?
দিনশেষে, সামি, কাজী এবং ফাহিম টোপ গিললেন, ওস্তাদের ৬% ইক্যুইটির বদলে এক কোটি টাকা অফার করলেন। হ্যাঁ, দরকষাকষি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ব্যবসা তো এমনই! শেষমেশ, ওস্তাদ ডিলটা নিলো, ট্যাংকে ইতিহাস গড়লো, এবং রীতিমতো প্রমাণ করেই ছাড়লো, শেখার ক্ষেত্রে, ওস্তাদের দলের চেয়ে ভালো আর কেউই নেই!