কী খবর সবার! শার্ক ট্যাংকের মজার দরকষাকষিতে নেমে পড়তে রেডি তো? তাহলে পপকর্ন নিয়ে বসে পড়ুন, শার্ক ট্যাংক এপিসোড ৪ আসছে সবাইকে নিয়ে যেতে দারুণ এক জার্নিতে!
হলিউড, সাবধান থাকো! আমাদের পর্বের শুরুতেই আসছে এক রোবট, যা ওয়াল-ই’কেও হার মানাতে পারে। আমি চাইছি যেন এটা বাটলার হয়, অ্যাডের ব্রেইকে একটা রোবট আপনাকে নাস্তা এনে দিচ্ছে- এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে?! এর পর আছে সেবাসংক্রান্ত একটা ব্যবসা, আমাদের প্রিয় প্রবীণদের জন্য। কে বলেছে প্রযুক্তি হৃদয়হীন?
আমাদের নির্ভীক শার্ক ট্যাংকের উদ্যোক্তাদের পরবর্তী ব্যবসা একটা রিটেইল ব্র্যান্ড- হয়তো জামাকাপড় নিয়ে? জাপানের সাথে সম্পৃক্ততার ব্যাপারটা বলার পর তো গল্প জমে ক্ষীর! ব্যবসায় পূর্ব-পশ্চিমের মিশেল?
আচ্ছা, চলুন এখন একটু দিক পালটে “পালকি”র দিকে যাই। পালকি মাত্র ৩% এর জন্য ১ কোটি টাকা চাইছে। নড়েচড়ে বসুন, তারা আসছে ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল) নিয়ে। এটা কুল, কমপ্যাক্ট আর হ্যাঁ, বাংলাদেশের বর্তমান প্রযুক্তি বিবেচনায় বেশ উচ্চাভিলাষী। কিন্তু ভাবুন, স্বপ্ন দেখলে তো বড়োই দেখা উচিত, তাই না?
পালকির ব্যাপারে আরেকটা তথ্য- বিশ্বাস করবেন, তাদের প্রথম দুটো গাড়ী এই বাংলাদেশেই তৈরি হয়েছিলো। এখন তারা আধুনিক ম্যাটেরিয়ালের খোঁজে দেশের বাইরেও যাচ্ছেন। তৈরি থাকুন, শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের চতুর্থ এপিসোডে গাড়ির একটা ঝলক দেখতে পাবেন!
ওহ হ্যাঁ, আমাদের শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের ক্ষুরধার শার্কদের কথা মনে আছে তো? তাঁদের প্রিয় কাজই হচ্ছে প্রতিযোগীদের সামনে চ্যালেঞ্জ দাঁড় করানো, কঠিন প্রশ্ন করা। একজন আশাবাদী প্রতিযোগীর বিশ্বাস, ১৭ লক্ষ টাকা দিয়ে তার ব্যবসার স্বপ্ন পূরণ হবে।
ওহ আর এসব টেনশানের মধ্যে, আমাদের প্রিয় কাউবয় শার্ক, লিওন হঠাৎ ছুঁড়ে বসলেন আরেক কঠিন প্রশ্ন, “তোমরা কাউবয় হ্যাট বানাও?” দারুণ ছিলো, লিওন, পরিস্থিতি ঠাণ্ডা রেখেছেন!
তবুও, এই প্রোমো মনে প্রশ্ন রেখেই শেষ হয়, কোনও ডিল কি সত্যিই হবে? মানে, অন্তত একটা তো হওয়া উচিত, না? তৈরি হয়ে যান বন্ধুরা, উত্তেজনা বেড়ে চলেছে! কিন্তু ভাববেন না, আমরা আছি- আগামীকাল সোজা বঙ্গতে চলে যান, ফ্রিতে নতুন এই অ্যাডভেঞ্চার দেখার জন্য! পপকর্ন খেতে খেতে এনজয় করুন এই এক্সাইটিং জার্নি!