নাভিন আহমেদ, শুধু অসাধারণ মেইকআপ আর্টিস্ট নন, তিনি একজন জিনিয়াস উদ্যোক্তা হিসেবেও সমান পরিচিত। এবার আসছেন নতুন দায়িত্বে, শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের মঞ্চে একজন শার্ক হয়ে।
বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে নাভিনের শুরুটা একদম গৎবাঁধা নিয়মেই। তিনি কানাডার শেরিড্যান কলেজ থেকে কসমেটিকস টেকনিকস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ওপর ডিগ্রি অর্জন করেন। এই নতুন পাওয়া জ্ঞান নিয়ে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন সেটা কাজে লাগাতে। একটা ছোট্ট ঘর থেকে শুরু, যেখানে তাঁর মূল ফোকাস ছিলো ব্রাইডাল মেইকওভার- তাঁর সবচেয়ে বড়ো প্যাশন।
সেই ছোট্ট ঘরটা বেশিদিন ছোট্ট ছিলো না। অনেক ঘাম, শ্রম আর চমৎকার সব মেইকআপ লুকস দিয়ে সেটা পরিণত হয় আধুনিক প্রযুক্তির একটা বিরাট মেইকওভার স্টুডিওতে। তারপর, ২০১৭তে, আরেক ধাপ এগিয়ে নাভিন ব্রাইডাল মেইকওভার এবং স্পা সার্ভিসের জন্য একটা স্পেশালাইজড স্যালন খোলেন।
কিন্তু নাভিন শুধুই একজন মেধাবী মেইকআপ আর্টিস্ট নন। তিনি একইসাথে একজন প্রখর-দৃষ্টিসম্পন্ন উদ্যোক্তা। ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম নেয়া নাভিন শুধু ব্যবসা দেখেই ইনভেস্ট করেন না, তিনি ইনভেস্ট করেন ব্যবসার মানুষ দেখে। মানুষকে এগিয়ে যেতে, বড়ো হতে সাহায্য করাই তাঁর উদ্দেশ্য, লক্ষ্য সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খোলার।
আর হ্যাঁ, অনেক জরুরি একটা দায়িত্বের কথা তো বললামই না, তিনি দুই সন্তানের মা। এতো ব্যস্ততার মাঝেও তিনি খুবই দক্ষতার সাথে ব্যক্তিগত এবং পেশাদারী জীবন ব্যালেন্স করে যাচ্ছেন।
মেইকআপ আর্টিস্ট থেকে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের চেয়ার- নাভিনের এই জার্নি নিয়ে বিশাল বই লেখাও সম্ভব! তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন উঠতি ব্যবসা এবং নতুন সব বিজনেস আইডিয়াকে সাহায্য করতে।
নাভিনের জন্য শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশে যোগ দেয়াটা শুধুই বিজনেস নয়, ট্যাংকের উত্তেজনা, দারুণ সব সুযোগ- এসবই তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছে। বিজনেস জগত উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করছে, সবাই জানে নাভিন খেলা পালটে দিতে আসছেন। দেখা যাক তাঁর জার্নি আমাদের কোথায় নিয়ে যায়!