সাওসান খান মঈনের জার্নি একইসাথে এক্সাইটিং এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। যৌথ পরিবারে অনেক ধরণের সম্পর্ক এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তাঁকে বড়ো হতে হয়েছে, এবং এটিই তাঁকে বিভিন্নরকম জটিল সম্পর্কের ব্যাপারে বুঝতে সাহায্য করেছে। এই শিক্ষা তিনি তাঁর সফল ক্যারিয়ারে কাজে লাগাতে পেরেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়া শুরু করেছিলেন, তখন থেকেই আর্ট এবং ডিজাইনের প্রতি তাঁর ভালোবাসার শুরু। আর সেই শুরুর দিককার সময়েই তিনি তাঁর প্রকৃত প্যাশন আবিষ্কার করেন- ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট।
সাওসান তাঁর এই নতুন প্যাশনকে দ্রুতই একটা ব্যবসায় রূপ দেন, যা আজ এনচ্যান্টেড ইভেন্টস নামে পরিচিত। মাত্র এক দশকের মধ্যেই তিনি সিইও হিসেবে আড়াই হাজারেরও বেশি ইভেন্টের আয়োজন করেছেন। এটাই তাঁর নেতৃত্বগুণ এবং কাজের প্রতি নিবেদনের বড় প্রমাণ। যেকোনো ইভেন্টেই, এনচ্যান্টেড ইভেন্টস ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষ নিয়োগ দেয়, অর্থাৎ কোম্পানির সফলতার সাথে সাথে এই শত শত মানুষের জীবনমানেরও উন্নতি হচ্ছে।
২০১১ সালে সাওসানের জীবনে আসে এক বিশাল দুর্ঘটনা- একটা জেনেটিক মেডিক্যাল কন্ডিশনের কারণে তাঁর স্ট্রোক হয়। কিন্তু, সাওসান এই বাঁধাটাকেই সামনে এগোবার একটা পথ হিসেবে গ্রহণ করেন। শারীরিক সমস্যার মধ্যেও তিনি পজিটিভলি জীবন চালিয়ে যান, অদম্য স্পৃহার সাথে। এই স্পৃহাই তাঁকে এনচ্যান্টেড ইভেন্টেসের ফাউন্ডার এবং সিইও হিসেবে সাহায্য করেছে।
অসম্ভব ব্যস্ততার মধ্যেও সাওসানের মনোযোগ সবসময় মানুষের দিকেই ছিলো। প্রতিটা মানুষের অনন্যতা, তাদের গল্প, তাদের শক্তি, তাদের প্যাশন- সবকিছুই সাওসানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। মানুষকে কেন্দ্র করে তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গি তাঁর সাফল্যে একটা বড়ো ভূমিকা রেখেছে।
সাওসানের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ এবার শার্ক ট্যাংকের প্রথম সিজনে “শার্ক” এর দায়িত্ব পালন করা, যেখানে উদ্যোক্তারা তাদের বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আসবেন ইনভেস্টমেন্টের আশায়। চ্যালেঞ্জটা হয়তো নতুন, কিন্তু সাওসান এই অভিজ্ঞতার জন্য মুখিয়ে আছেন। অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন সেই “পারফেক্ট ম্যাচ” এর, যাকে তাঁর স্কিল আর অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন বড় কিছু হতে!
সাওসান খান মঈন একজন প্রেরণাদায়ী লিডার, যার মূল চালিকাশক্তি কাজের প্রতি প্যাশন, আর মানুষের প্রতি ভালোবাসা। তাঁর নেতৃত্বে, এনচ্যান্টেড ইভেন্টস এবং এর সাথে জড়িত সবার ভবিষ্যৎ সত্যিই উজ্জ্বল।