বুধবার, আগস্ট 13, 2025
spot_imgspot_img
Home Blog Page 5

শার্ক ট্যাংক এপিসোড ২ – নতুন শার্কের সাথে শার্কি পর্ব, দারুণ সব ডিল আর নতুন হাওয়া

কী খবর সবার, প্রিয় শার্ক ট্যাং বোদ্ধারা? সরাসরি কাজের কথায় আসি, এপিসোড ২ কি প্রথমটার চেয়েও ভালো? দেখেই প্রথমে যে শব্দটা মাথায় এসেছে- “ব্যাম!” এটা আগেরটার চেয়েও এক ধাপ এগিয়ে! শক্ত হয়ে বসুন সবাই, শার্ক ট্যাংকের ঝড় আসছে সব উড়িয়ে নিতে! 

ট্যাংকে নতুন শার্ক- সামানজার খান

প্রথমেই, পরিচয় করিয়ে দিই নতুন শার্কের সাথে, সামানজার খান। স্পয়লার অ্যালার্ট- উনি কিন্তু দারুণ! প্রখর সেন্স অফ হিউমার, সোজাসাপটা আলাপ- শার্ক ট্যাংকে তুলছেন প্রতিভার ঝড়! বাকি শার্করা সরে দাঁড়ান, নতুন এই শার্ক আসছেন মঞ্চ মাতাতে! 

“এস্টিলো”র গ্র্যান্ড এনট্র্যান্স

হ্যালো বন্ধুরা! আসছে এস্টিলো, তাদের লক্ষ্য- সবার জন্য বিস্পোক বা কাস্টম মেইড চামড়ার প্রডাক্ট ডেলিভার করা। তাদের অফার, ৪৫ লাখ টাকার বদলে কোম্পানির ১৩.৫% ইক্যুইটি। তারা ব্যাবসা করছে ৩ বছর ধরে, ১ কোটির উপর রেভিনিউ- ব্যবসাটা তারা ভালোই করছে। কিন্তু এটা কি আমাদের শার্কদের মন জয় করার জন্য যথেষ্ট? দেখা গেলো, তাদের কাস্টমার-বান্ধব প্ল্যাটফর্ম, যা সত্যিকার অর্থেই বিস্পোক প্রডাক্ট ডিজাইন করতে পারে- ব্যাপারটা প্রায় সব শার্কদেরই মুগ্ধ করেছে। কিন্তু, একজন বাদে…  

আমাদের প্রিয় সামানজার খেয়াল করলেন প্রতিযোগীরা নারী কাস্টমারদের জন্য কোনও প্রডাক্ট অফার করছেন না। তার উপর নিজেদের প্রডাক্টকে একইসাথে সাশ্রয়ী এবং প্রিমিয়াম বলা- এটা কীভাবে সম্ভব? সামানজারের মন গলল না। যদিও দুজন শার্ক আগ্রহী হলেন, আলাপ বাড়ালেন, কিছুক্ষণ দরকষাকষির পর, এস্টিলোর সাথে ডিল হলো- ১৫ লাখ টাকা ক্যাশ, ১০ লাখ টাকা ইন্টারেস্ট-ফ্রী লোন, সাথে ২০ লাখ টাকা সমমূল্যের টেকনিক্যাল ও অ্যাডভার্টাইজিং সাপোর্ট। এর বিনিময়ে তারা শার্কদের দিলো তাদের কোম্পানির ২০% ইক্যুইটি। এই দারুণ ডিলটা এসেছিল গোলাম এবং ফারহানের কাছ থেকে। ভালোই করেছ, ছেলেরা!  

“সঠিক এআই” এর প্রযুক্তির জোয়ার

এরপর আসছে, সঠিক এআই দলের টেক জিনিয়াসেরা! এই মেধাবী তরুণেরা একটা জেনারেটিভ এআই রাইটিং প্ল্যাটফর্ম বানাচ্ছে, যাতে বাংলা ব্যাকরণ এবং টেক্সট রাইটিং সল্যুশান থাকবে। একটা বিখ্যাত বাংলা গান গেয়ে তারা অভিনব পিচের শুরু করে। এটার প্রশংসা তো করতেই হয়! 

কিন্তু এখন কাজের আলাপ। প্রতিযোগীরা যেভাবে দাবি করছে, সঠিক এআই কি সত্যিই এতোটা কার্যকর? সত্যি বলতে, নাহ! তাদের দুর্বল বিজনেস মডেল এবং একটা অস্পষ্ট ভিশানের কারণে, সঠিক এআই এর পিচটা শার্কদের প্রশ্নের ঢেউ সামলে উঠতে পারেনি। তারা এখন বুঝতে পারছে, টেক জগতে সফল হওয়াটা এতোটাও সহজ না। 

“স্টিক-অন!” এর বুদ্ধিমত্তা

আমাদের তৃতীয় প্রতিযোগী, “স্টিক-অন!” নিজেদেরকে পারসোনালাইজড ফোন কাভারের পথিকৃৎ হিসেবে দাবি করে। তাদের চাওয়া? ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১৩% ইক্যুইটি। বেশি হয়ে গেছে? হয়তো, কিন্তু “স্টিক-অন!” এর ব্যাপারে জানারও অনেক কিছু আছে। সদ্য ভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট এই তরুণেরা পারিবারিক ব্যবসাকে কাজে লাগিয়ে পরিশ্রম করে যাচ্ছে, নিজেদের একটা নাম করার লক্ষ্যে।  

সামানজার, আমাদের প্রখর-দৃষ্টির শার্ক এবারও সন্দিহান। “স্টিক-অন!” এর “ইউনিক সেলিং পয়েন্ট” বা ইউএসপি তাঁর কাছে আসলে, অতোটাও ইউনিক লাগে নি। তারপরও, বেশ কঠিন এক দরকষাকষির পর, তারা ফাহিম এবং মুর্শেদের কাছ থেকে একটা ডিল আদায় করতে সফল হয়েছে।

আর যে ডিলটাই না পেলো! এটাকে ডিল বলবো না কি সোনার খনি? তারা ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে শার্কদের কাছ থেকে পাচ্ছে ১৫ লক্ষ টাকা, ভাবা যায়? আর এই টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দিতে হচ্ছে কোম্পানির মাত্র ২০ ভাগ শেয়ার। চুক্তিটা খারাপ হয়নি, বলতেই হচ্ছে। কোম্পানির সিংহভাগ রয়ে গেলো, আবার পার্টনার হিসেবে ফাহিম এবং গোলামের মত দুজন দুর্দান্ত শার্ক! শুধু একটাই ছোট্ট শর্ত, ১৮ মাসের মধ্যে রয়্যালটি হিসেবে ৫ লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে। তারপরও, দারুণ ডিল তো বটেই! 

“পালসটেক”এর নিরলস প্রচেষ্টা

সবশেষে, আসছে পালসটেক, ফার্মেসির জন্য একটা নতুন হোলসেইল ই-কমার্স মডেল। তারা ইনভেনটরি ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে ডেলিভারি সার্ভিস প্রদান করে থাকে। সবচেয়ে বড়ো ব্যাপার, তাদের সাথে এর মধ্যেই যোগ দিয়েছে ৪০০০ ফার্মেসি! ওয়াও! 

কিন্তু তাদের “সব কাজের কাজী” এই মডেলটা কি পারবে শার্কদের আগ্রহ তৈরি করতে? দেখা গেলো, হ্যাঁ! পেরেছে! তারা সামানজারের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকার বদলে ৫% ইক্যুইটির এক অবিশ্বাস্য ডিল নিয়ে ট্যাংক থেকে বেরুলো! এর চেয়েও বড়ো চমক- তারা যদি এই ৩০ লাখ টাকা ১২ মাসের মধ্যে ফেরত দিতে পারে, সামানজার তাঁর ইক্যুইটি ৫% থেকে ১% এ নামিয়ে আনবেন! এরকম ডিল কি কখনও পাওয়া যায়?!  

তো, তৈরি হয়ে নিন, শার্ক ফ্যানরা, এপিসোড ২ দারুণ সব পিচ নিয়ে অপেক্ষা করছে, আমাদের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে চলেছে। শক্ত করে ধরে বসবেন, প্রতিটা পর্বেই সাগর আরও উত্তাল হচ্ছে!

স্বপ্নদর্শী কাজী এম হাসান- সাফল্যের সাগরে যার বসবাস

হ্যালো সবাইকে! চলুন ঢুকে পড়ি শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের এক্সাইটিং জগতে, পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি শার্ক কাজী এম হাসানের সাথে। তিনি শুধুই শার্ক না, বিজনেসের সাগরে তিনি আস্ত সুনামি!

দাঁতভাঙা সব ডিগ্রির কথা যদি বলি, কাজীর কাছে সবই আছে। অক্সফোর্ড থেকে এমবিএ? চেক! এসিসিএ, ইউকে থেকে ফেলো চার্টার্ড সার্টিফায়েড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (এফসিসিএ)? চেক। এমনকি আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ- সেটাও আছে! তিন তিনটা বড়ো ডিগ্রি- এমন হ্যাটট্রিক কজন করে? আমাদের এই শার্ককে কি একটু নার্ড বলা যায়? নাহ, জ্ঞানেই তো আসল সৌন্দর্য!

কাজীর ক্যারিয়ার? দাঁড়ান, দম নিয়ে নিই, একটানা বলে যেতে হবে! বিএটি (BAT) থেকে শুরু, তারপর সোজা ইউকে তে আইবিএম (IBM) এ চাকরি। সেখান থেকে কনসাল্টিং, সিএফও (CFO) অ্যাডভাইজরিজ, বড়ো বড়ো সেইলস। এরপর, জাদুর ছড়ি নিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা আর মিডল ইস্ট। কোনও মহাদেশ বাকি রাখছেন না!

এরপর জার্নি শুরু গ্রামীনফোনে, কাজ করেছেন চিফ বিজনেস অফিসার হিসেবে। তাঁর দিকনির্দেশনায়, এই টেলকো পরিণত হয় এক বিরাট টেকনোলজি কোম্পানিতে, প্রবেশ করে আইসিটি/আইওটি সার্ভিসে। তাঁর ছোঁয়ায় একটা জাদু আছে, না? শার্ক না ডেকে কি যাদুকর ডাকবো?

দাঁড়ান, আরও আছে! কাজী এক জায়গায় থেমে থাকার মানুষ নন, ডেলোয়ট, ইউকে তে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট হিসেবে বড়ো বড়ো কোম্পানির হয়ে রেভিনিউ কামিয়েছেন, আইবিএম ইউকে, এবং বিএটি বাংলাদেশের হয়ে ফাইন্যান্স ও মার্কেটিং এর বড়ো পোস্টে কাজ করেছেন।

শেষ না! তাঁর এই ক্রিয়েটিভিটি ক্যারিয়ারের গণ্ডিতেই বাঁধা নয়। তিনি যুক্ত আছেন “অ্যাডভাইজরি কমিটি অফ এসিসিএ বাংলাদেশ” এ। একইসাথে তিনি “গ্লোবাল এসিসিএ ফোরাম” এ বাংলাদেশের প্রতিনিধি। মনে হচ্ছে তাঁর কাছে হ্যারি পটারের টাইম টার্নারটা আছে, একেকবার সময় পিছিয়ে একেক কাজ করছেন!

তিনি শুধুই ট্যাংকের একজন শার্ক নন, তিনি উদ্যোক্তাজগতে এক শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব। মার্কেট রিসার্চ, রিয়েল এস্টেইট, সোর্সিং- সবদিকেই কোম্পানি খুলেছেন এবং সবদিকেই জিতছেন!

এবার ট্যাংকে তিনি কীসের খোঁজে এসেছেন? বড়ো আইডিয়া। বড়ো মনোবল। বড়ো লক্ষ্য। ছোটো নাম্বারে তাঁর মন ভিজবে না, তাঁর চাই বড়ো সাফল্য! আর কেন না? ছোটো জয়ে কি আর মন ভরে?

তৈরি হোন, স্বপ্নবাজেরা! ট্যাংক আপনাদেরকেই ডাকছে! বাকিরা, চলুন বসে পড়ি, আর দেখি কাজীর কাজ আমাদের উদ্যোক্তাদের কোন পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। রেডি তো, আজকের জার্নি মজার হবে! বঙ্গতে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ দেখুন, সময় দারুণ কাটবে- এই গ্যারান্টি আমার! 

স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে বিপ্লব- নেতৃত্বে স্টার্টআপ বাংলাদেশের সামি আহমেদ

সবাই রেডি তো? আজ আমরা যোগ দিচ্ছি সামি আহমেদের রোলারকোস্টার জার্নিতে! যদি এখনও না জানেন তিনি কে, আমিই বলছি। সামি স্টার্টআপ বাংলাদেশ নামক এক বিশাল কোম্পানির ক্যাপ্টেন। এটাও জেনে রাখুন, এই কোম্পানিই বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা পাওয়া দেশের একমাত্র ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড।

৫০০ কোটি টাকার বিশাল ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে ২০২২ সালের মার্চে স্টার্টআপ বাংলাদেশের শুরু, সামি নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২০২২ থেকেই। এমডি এবং সিইও হিসেবে, আলোর গতিতে ইনভেস্ট করে যাচ্ছেন বিভিন্ন স্টার্টআপে। মাত্র আড়াই বছরে, তিনি ৩৫টি কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়েছেন, এবং আরও ১২টি কোম্পানির সাথে আগামীতে যুক্ত হচ্ছেন। আর তাদেরকে কতো টাকা দিয়েছেন বলেছি? পাক্কা একশো কোটি টাকা!

সামির লক্ষ্যটা একদম পরিষ্কার, বাংলাদেশের স্টার্টআপ সংস্কৃতিকে বিদ্যুতের গতিতে আমূলে পালটে ফেলা! আর তিনিই কেন এই কাজের জন্য সবচেয়ে যোগ্য, ভাবছেন? এই প্রখর উদ্যোক্তা আর দশজন ব্যবসায়ীর মত নন। আমেরিকা থেকে অর্জিত সিএসই ডিগ্রি, আর বাংলাদেশ থেকে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে মাস্টার্স- প্রযুক্তি আর সামাজিক উন্নয়নের এই শক্তিশালী মিশেল আর কোথায় পাবেন?  

আমাদের এই শার্ক আমেরিকার আয়েশের জীবন ছেড়ে ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নত করতে। দেশপ্রেম তো এটাকেই বলে, ঠিক না (না কি পাগলামি বলবেন? আপনিই বলুন)?

তো উনি আসলে খুঁজছেন টা কী? এমন কোম্পানি, যারা হাড়ভাঙা খাটনির জন্য প্রস্তুত, যারা চাকরির সুযোগ তৈরি করে সমাজে একটা প্রভাব ফেলতে চায়। শোনা যায়, তাঁর টেক-ভিত্তিক কোম্পানির দিকে একটা দুর্বলতা আছে, তাঁর স্বপ্ন আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে পাঁচটা ইউনিকর্ন কোম্পানি দেয়া! উচ্চাভিলাষ? হ্যাঁ ঠিক। কিন্তু এটার কি দরকার আছে? অবশ্যই!   

প্রথম এপিসোড দেখে থাকলে বুঝবেন, তাঁর উৎসাহ প্রচণ্ড! তিনি শুধু টাকাই দিচ্ছেন না, সক্রিয়ভাবে কোম্পানিগুলোর সাথে যুক্ত থাকতে চাচ্ছেন। তাঁর পোর্টফোলিওতে দুটো কোম্পানি ঢুকে গেছে, কিন্তু তাঁর ক্ষুধা এখনও প্রবল!

তো, আমাদের এই দারুণ শার্কের জন্য সামনে আর কী আছে? আরও ডিল? আরও ইনভেস্টমেন্ট? সময়ই বলে দেবে। নাইরোবি থেকে কেইপ টাউন, প্যারিস থেকে ঢাকা- সবার চোখ সামি’র ওপর! আর সত্যি বলতে, আমি নিজেও অপেক্ষা করছি দেখতে, এই শার্কের পরের কামড় কোথায় পড়ে!

গোলাম মুর্শেদ- ভিশনারি নেতৃত্বের আদর্শ নমুনা

গোলাম মুর্শেদ, বাংলাদেশের বিজনেস সেক্টরে এক উঠতি তারকা। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিগ্রি, এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ। তাঁর শিক্ষার ক্ষেত্র তাঁর ক্যারিয়ারের সাফল্যের মতই বৈচিত্র্যময়। 

রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক সুপরিচিত পরিবারে জন্ম নেয়া গোলাম মুর্শেদের গল্পের শুরু ২০১০ এ, ওয়ালটনের সাথে। এক দশকের মধ্যেই তাঁর দূরদর্শী চিন্তা, পরিকল্পনা এবং কাজের মধ্য দিয়ে তিনি কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টরে উন্নীত হন। 

তিনি ওয়ালটনে যোগ দেয়ার এক বছরের মধ্যে কীভাবে কোম্পানিটির ভ্যালুয়েশান/মূল্যমান ৩.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪.৯ বিলিয়ন ডলার হয়ে গেলো? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন- গোলাম মুর্শেদের স্মার্ট পরিকল্পনা এবং কাজের প্রতি নিবেদন। তাঁর প্রাণচঞ্চল ব্যক্তিত্ব এবং অসাধারণ নেতৃত্বগুণের কারণেই কোম্পানির এই বিকাশ সম্ভব হয়েছে। 

তাঁর নেতৃত্বেই, ওয়ালটন “গো গ্লোবাল ব্র্যান্ড” এর স্বীকৃতি পায়। এখানেই শেষ না, তাঁর সময়কালে ওয়ালটন প্রতি বছর বেস্ট ব্র্যান্ডের পুরস্কার জিতেছে। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বের সবচেয়ে ভালো গুণ কী জানেন? তিনি আরও লিডার তৈরি করতে চান। তাঁর লক্ষ্য হচ্ছে তাঁর দলের মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগি করা, আস্থা স্থাপন করা, এবং নেতৃত্বগুণ তৈরি করা।  

ব্যবসায়ের বিষয় ছাড়াও, খেলাধুলা গোলাম মুর্শেদের খুবই পছন্দ। ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, ফুটবল, ক্রিকেট- সবই তাঁর প্রিয়। কাজ এবং আনন্দের ভারসাম্য রেখে একটা জীবন কাটানো- এটাই তাঁর চাওয়া। 

জানেন তো? গোলাম মুর্শেদের পরবর্তী অ্যাডভেঞ্চার হচ্ছে একজন ইনভেস্টর হিসেবে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশে যোগ দেয়া। তাঁর দৃষ্টি এমন উদ্ভাবনী উদ্যোক্তাদের দিকে, যারা বাংলাদেশের বিজনেস সেক্টরের ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে পারে। 

মোটকথায়, গোলাম মুর্শেদ একজন দূরদর্শী বিজনেসম্যান। ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সৃষ্টি করার দর্শন, নিজেকে আরও উন্নত করার ব্যাপারে তাঁর স্পৃহা, তাঁর নানান রকম আগ্রহ- সবমিলিয়ে এই বৈচিত্র্যময় শার্কের দিকে আলাদাভাবে নজর দিতেই হয়। তার উপর এবার শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশে নতুন নতুন উদ্ভাবনী ব্যবসায় তাঁর ইনভেস্ট করার প্রবল ইচ্ছা- তাঁর দিকে আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর ওপর চোখ থাকে যেন, বন্ধুরা! 

সাওসান খান মঈন- “এনচ্যান্টেড ইভেন্টস” এর সিইও

সাওসান খান মঈনের জার্নি একইসাথে এক্সাইটিং এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। যৌথ পরিবারে অনেক ধরণের সম্পর্ক এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তাঁকে বড়ো হতে হয়েছে, এবং এটিই তাঁকে বিভিন্নরকম জটিল সম্পর্কের ব্যাপারে বুঝতে সাহায্য করেছে। এই শিক্ষা তিনি তাঁর সফল ক্যারিয়ারে কাজে লাগাতে পেরেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়া শুরু করেছিলেন, তখন থেকেই আর্ট এবং ডিজাইনের প্রতি তাঁর ভালোবাসার শুরু। আর সেই শুরুর দিককার সময়েই তিনি তাঁর প্রকৃত প্যাশন আবিষ্কার করেন- ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট।

সাওসান তাঁর এই নতুন প্যাশনকে দ্রুতই একটা ব্যবসায় রূপ দেন, যা আজ এনচ্যান্টেড ইভেন্টস নামে পরিচিত। মাত্র এক দশকের মধ্যেই তিনি সিইও হিসেবে আড়াই হাজারেরও বেশি ইভেন্টের আয়োজন করেছেন। এটাই তাঁর নেতৃত্বগুণ এবং কাজের প্রতি নিবেদনের বড় প্রমাণ। যেকোনো ইভেন্টেই, এনচ্যান্টেড ইভেন্টস ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষ নিয়োগ দেয়, অর্থাৎ কোম্পানির সফলতার সাথে সাথে এই শত শত মানুষের জীবনমানেরও উন্নতি হচ্ছে।

২০১১ সালে সাওসানের জীবনে আসে এক বিশাল দুর্ঘটনা- একটা জেনেটিক মেডিক্যাল কন্ডিশনের কারণে তাঁর স্ট্রোক হয়। কিন্তু, সাওসান এই বাঁধাটাকেই সামনে এগোবার একটা পথ হিসেবে গ্রহণ করেন। শারীরিক সমস্যার মধ্যেও তিনি পজিটিভলি জীবন চালিয়ে যান, অদম্য স্পৃহার সাথে। এই স্পৃহাই তাঁকে এনচ্যান্টেড ইভেন্টেসের ফাউন্ডার এবং সিইও হিসেবে সাহায্য করেছে।  

অসম্ভব ব্যস্ততার মধ্যেও সাওসানের মনোযোগ সবসময় মানুষের দিকেই ছিলো। প্রতিটা মানুষের অনন্যতা, তাদের গল্প, তাদের শক্তি, তাদের প্যাশন- সবকিছুই সাওসানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। মানুষকে কেন্দ্র করে তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গি তাঁর সাফল্যে একটা বড়ো ভূমিকা রেখেছে।

সাওসানের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ এবার শার্ক ট্যাংকের প্রথম সিজনে “শার্ক” এর দায়িত্ব পালন করা, যেখানে উদ্যোক্তারা তাদের বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আসবেন ইনভেস্টমেন্টের আশায়। চ্যালেঞ্জটা হয়তো নতুন, কিন্তু সাওসান এই অভিজ্ঞতার জন্য মুখিয়ে আছেন। অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন সেই “পারফেক্ট ম্যাচ” এর, যাকে তাঁর স্কিল আর অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন বড় কিছু হতে! 

সাওসান খান মঈন একজন প্রেরণাদায়ী লিডার, যার মূল চালিকাশক্তি কাজের প্রতি প্যাশন, আর মানুষের প্রতি ভালোবাসা। তাঁর নেতৃত্বে, এনচ্যান্টেড ইভেন্টস এবং এর সাথে জড়িত সবার ভবিষ্যৎ সত্যিই উজ্জ্বল।

নাভিন আহমেদ- মেইকআপ আর্টিস্ট থেকে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের চেয়ারে

নাভিন আহমেদ, শুধু অসাধারণ মেইকআপ আর্টিস্ট নন, তিনি একজন জিনিয়াস উদ্যোক্তা হিসেবেও সমান পরিচিত। এবার আসছেন নতুন দায়িত্বে, শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের মঞ্চে একজন শার্ক হয়ে। 

বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে নাভিনের শুরুটা একদম গৎবাঁধা নিয়মেই। তিনি কানাডার শেরিড্যান কলেজ থেকে কসমেটিকস টেকনিকস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ওপর ডিগ্রি অর্জন করেন। এই নতুন পাওয়া জ্ঞান নিয়ে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন সেটা কাজে লাগাতে। একটা ছোট্ট ঘর থেকে শুরু, যেখানে তাঁর মূল ফোকাস ছিলো ব্রাইডাল মেইকওভার- তাঁর সবচেয়ে বড়ো প্যাশন।  

সেই ছোট্ট ঘরটা বেশিদিন ছোট্ট ছিলো না। অনেক ঘাম, শ্রম আর চমৎকার সব মেইকআপ লুকস দিয়ে সেটা পরিণত হয় আধুনিক প্রযুক্তির একটা বিরাট মেইকওভার স্টুডিওতে। তারপর, ২০১৭তে, আরেক ধাপ এগিয়ে নাভিন ব্রাইডাল মেইকওভার এবং স্পা সার্ভিসের জন্য একটা স্পেশালাইজড স্যালন খোলেন। 

কিন্তু নাভিন শুধুই একজন মেধাবী মেইকআপ আর্টিস্ট নন। তিনি একইসাথে একজন প্রখর-দৃষ্টিসম্পন্ন উদ্যোক্তা। ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম নেয়া নাভিন শুধু ব্যবসা দেখেই ইনভেস্ট করেন না, তিনি ইনভেস্ট করেন ব্যবসার মানুষ দেখে। মানুষকে এগিয়ে যেতে, বড়ো হতে সাহায্য করাই তাঁর উদ্দেশ্য, লক্ষ্য সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খোলার। 

আর হ্যাঁ, অনেক জরুরি একটা দায়িত্বের কথা তো বললামই না, তিনি দুই সন্তানের মা। এতো ব্যস্ততার মাঝেও তিনি খুবই দক্ষতার সাথে ব্যক্তিগত এবং পেশাদারী জীবন ব্যালেন্স করে যাচ্ছেন। 

মেইকআপ আর্টিস্ট থেকে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের চেয়ার- নাভিনের এই জার্নি নিয়ে বিশাল বই লেখাও সম্ভব! তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন উঠতি ব্যবসা এবং নতুন সব বিজনেস আইডিয়াকে সাহায্য করতে। 

নাভিনের জন্য শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশে যোগ দেয়াটা শুধুই বিজনেস নয়, ট্যাংকের উত্তেজনা, দারুণ সব সুযোগ- এসবই তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছে। বিজনেস জগত উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করছে, সবাই জানে নাভিন খেলা পালটে দিতে আসছেন। দেখা যাক তাঁর জার্নি আমাদের কোথায় নিয়ে যায়! 

শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ- চোখ এবার শায়লা শারমিনের দিকে

শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ চলে এসেছে চায়ের কাপে ঝড় তুলতে, দুর্দান্ত সব উদ্যোক্তাদের নিয়ে। তাদেরই একজন, শায়লা শারমিন, আসছে ট্যাংক মাতাতে। ধীরস্থির মন আর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ লক্ষ্য নিয়ে আসছে দর্শকদের মন জয় করতে, সম্ভবত প্রথম এপিসোডেই।  

উত্থানপতন, স্বপ্ন ভাঙা, আবার গড়া- এই সব নিয়েই শারমিনের উদ্যোক্তা-জীবন। বাবার অসন্তুষ্টি, রাজি না থাকা- ছকে বাঁধা জীবনকে ভেঙে নতুন কিছু করার ঝুঁকি- সব পার করেই শারমিন তার স্বপ্নের দিকে এগিয়েছে। আর শেষ হাসিটা কিন্তু তারই, দারুণ না?

শারমিন একজন স্ব-প্রতিষ্ঠিত নারী। ব্যবসার প্রতিটা বিষয় তার নিজে নিজে শেখা, স্বশিক্ষিত এক্সপার্ট বোধহয় একেই বলে!  

আর এখানেই আমাদের শার্কদের কাজ শুরু। শোনা যাচ্ছে, শার্করা আন্ডারডগের গল্প/ছোটো থেকে উঠে আসা উদ্যোক্তাদের গল্প ভালোবাসেন। আমাদের ডি আই ওয়াই রাণী কি পারবে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে একটা ডিল আদায় করতে? সময়, স্পষ্ট বিজনেস প্ল্যান, আর আমাদের শার্করাই এটা ভালো বলতে পারবেন।

উত্তেজনার জ্বরে ভুগতে ভুগতে আমরা শুধু এটাই বলছি- উদ্যোক্তার লড়াই শুরু হোক! শারমিন, ঠিকমতো প্রস্তুত হয়ে নাও, শার্করা কিন্তু ওত পেতে বসা! আর মাত্র… ইশ আর তর সইছে না! শায়লাকে অনেক শুভকামনা, তোমার এই যাত্রা যেন অনেকদূর যায়, আমরাও অধীর হয়ে আছি তোমার এই যাত্রা দেখতে!

তৈরি হয়ে নিন দর্শক! পপকর্ন নিয়ে বসে পড়ুন। শার্ক ট্যাংক ঝড় তুলতে চলে আসছে! প্রথম এপিসোড আসতে আর দেরি নেই, আগ্রহ আর উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।

খেলা শুরু হয়ে যাক! শার্করা ডুব দিক। আর শারমিনরা এগিয়ে যাক!

আহমেদ আলি লিওন- আমেরিকায় তোলপাড় করা বাংলাদেশী কাউবয় শার্ক

এইযে, আপনারা “নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশী (এন আর বি)” শার্ক, আহমেদ আলি লিওনের নাম শুনেছেন? ইনি সত্যিই দারুণ এক শার্ক, বাংলাদেশী ব্যবসাকে কীভাবে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে দিতে হয়- সেটা তার ভালোভাবেই জানা। তার অভিজ্ঞতার কথা বলে শেষ হবে না! এক্স-নেভি, সরকারী এবং প্রাইভেট সেক্টর- দুজায়গাতেই কাজ করেছেন, এখন আমেরিকায় ১৫০০ এর বেশি এমপ্লয়ি নিয়ে নিজের কোম্পানি, তিস্তা সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি করপোরেশন চালাচ্ছেন। আর জানেন? তাঁর কোম্পানি সাইবার সিকিউরিটি এবং হেলথকেয়ার আইটি সেক্টরে গ্লোবাল মার্কেটে অসাধারণ কাজ করছেন! তিনি সত্যিই একজন রকস্টার!

লিওন, মানুষে ইনভেস্ট করতে আগ্রহী, শুধুই টেকনোলজিতে না। ভালো সম্ভাবনা আছে এমন যে কাউকেই তিনি টাকা দিতে প্রস্তুত, তারা টেক বিজনেসে থাকুক আর না থাকুক। তাঁর ভিশন একদম পরিষ্কার- তিনি মানুষকে গ্রো করতে সাহায্য করতে চান, পরের লেভেলে নিয়ে যেতে চান। তাঁর উদ্দেশ্যটা যে ভালো, সেটা স্পষ্ট বোঝা যায়।

বাংলাদেশের মানুষের প্রতিভায় তাঁর অগাধ আস্থা, এবং তিনি এমন একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চান যেখানে সেই প্রতিভা কাজের সুযোগ পাবে। প্রতিভার ব্যাপারে তিনি একদমই ঠিক, এখানে প্রতিভা সত্যিই অনেক। সে তুলনায় কাজের সুযোগ অনেক কম। কিন্তু তাঁর মত মানুষ যখন জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে এগিয়ে আসছেন, আমাদের ব্যবসাখাতে নিশ্চয়ই একটা বড়ো পরিবর্তন আসবেই।

মানতেই হবে, এই কাউবয় শার্কের কারিশমা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করে রেখেছেন, একইসাথে শার্ক ট্যাংকে একটা বড়ো বিপ্লব ঘটাচ্ছেন। লিওনকে হ্যাটস অফ! ২৬ তারিখ কী হয় তা দেখতে আমি সত্যিই অধীর অপেক্ষায় আছি । প্রস্তুত থাকুন- রোমাঞ্চকর এক এপিসোড দেখতে যাচ্ছি!

অনুমানের খেলা/ট্যাংক নিয়ে অনুমান- শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা কী নিয়ে আসছেন?

আমার কিছু অনলাইন আউটরিচ সেশানে যোগ দেয়ার সুযোগ হয়েছিল, সেগুলোতে সবধরণের ব্যবসার কথাই শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প থেকে শুরু করে ঢাকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্টার্টআপ- বোঝাই যাচ্ছে দেশে প্রত্যয়ী উদ্যোক্তার কোনও কমতি নেই।

কিছুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে শার্করা সমাজের বিভিন্ন পর্যায় থেকে উঠে আসা দারুণ কিছু নারী উদ্যোক্তাদের কথা বলেছিলেন, এবং তাদের ট্রেইলার থেকে এটা স্পষ্ট যে তারা নারী ব্যবসায়ীদের এগিয়ে নেবার দিকে আলাদা ফোকাস দিচ্ছেন। ইলেকট্রিক বাইক, স্কিনকেয়ার সামগ্রী, স্টাইলিশ কাপড়- ট্রেইলারে হালকা ঝলক দেখেছি, পুরোটা তো বাকিই রইলো! প্রায় ৬০ জন উদ্যোক্তা নিয়ে এবারের ট্যাংকের সিজন- মনে হচ্ছে একটা চমৎকার আর বৈচিত্র্যময় লাইনআপ দেখতে যাচ্ছি!

এখন ব্যবসার ক্যাটাগরিতে আসি, এখানে আসলে অনুমান করা যাচ্ছে না। হেলথকেয়ার, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার- যা কিছু ভাবা যায়, হয়তো সবই দেখতে পাবো। আর হ্যাঁ, হ্যান্ডমেইড ক্রাফটস, মজাদার খাবার, ফাঙ্কি ফ্যাশন- এসব তো থাকবেই। উদ্যোক্তারা কেমন উদ্ভাবন বা বিপ্লব নিয়ে আসবেন- হয়তো নিশ্চিতভাবে জানি না। কিন্তু এটা নিশ্চিত, আমি মুগ্ধ হতেই বসে আছি!

তো রেডি হয়ে যান উৎসাহ জানাতে, দারুণ কিছু কোম্পানি মাঠে নামছে বড়ো কিছুর আশায়। তাদের জাদু দেখার অধীর অপেক্ষায়!

শার্কদের সাথে সাগরে নামতে প্রস্তুত? – বাংলাদেশী শার্ক ট্যাংক আসছে ঝড় তুলতে!

দারুণ খবর! আগামী ২৬ তারিখ বাংলাদেশে শার্ক ট্যাংকের লোকাল/স্থানীয় সংস্করণ শুরু হতে যাচ্ছে! আমাদের দেশের উঠতি উদ্যোক্তা-সংস্কৃতিতে এই শো একটা ভালো প্রভাব ফেলবে- এই আশায় আগ্রহী হয়ে আছি আমি সহ আরও অনেকেই। আমাদের দেশে যেখানে ব্যবসা করাকে/ উদ্যোক্তা-জীবনকে অতোটা উৎসাহ দেয়া হয় না- শার্ক ট্যাংক এই পুরো দৃষ্টিভঙ্গি পালটে ফেলতে পারে, লাখো তরুণকে অনুপ্রাণিত করতে পারে উদ্ভাবনের শক্তিতে পরিবর্তন ঘটাতে।

লঞ্চ ইভেন্ট দেখেই বোঝা হচ্ছে, ব্যাপারটা বেশ জমবে! আমি তো আশায় বুক বেঁধে আছি- এই শো আমাদের ব্যবসার পুরো পরিবেশটাকেই/ইকোসিস্টেমটাকেই ঢেলে সাজাতে পারবে, নতুন একটা জোয়ার আনতে পারবে। কিছু কিছু শার্ক তো বিশাল প্রফিটের ভবিষ্যৎবাণীও করে ফেলছেন, যদিও একমাত্র সময়ই বলতে পারবে তাদের ইনভেস্টমেন্টের তরী ভাসবে না কি ডুববে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, শার্করা এবং বঙ্গের লিডারশিপ- দু পক্ষই বিভিন্ন শ্রেণীর উদ্যোক্তাদের দেখে অবাক হয়েছেন, মুগ্ধ হয়েছেন। শুনে খুব ভালো লেগেছে যে দেশের প্রতিটা কোণা থেকে প্রতিযোগীরা এসেছেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করছেন।

আমি তো অধীর হয়ে দেখার অপেক্ষা করছি, এই উদ্যমী উদ্যোক্তারা কতোকিছুর পসরা সাজিয়ে এনেছেন, আর শার্করাই বা কীভাবে তাদের প্রজ্ঞা/মেধা/এক্সপার্টিজ দিয়ে এই ব্যবসাগুলোকে বড়ো করার ব্যাপারে সাহায্য করছেন। শো নিয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে, ফ্যানদের তর সইছে না, কবে হবে প্রেমিয়ার!

আগামী ২৬ তারিখ শার্ক ট্যাংক আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে- এটাই আশা! তারিখটা মনে রাখবেন, বন্ধুরা- শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ আসছে আগামী ২৬ এপ্রিল, রাত দশটায়, একইসাথে বঙ্গ এবং দীপ্ত টিভিতে! মুগ্ধ হতে প্রস্তুত তো?