জাস্ট একবার ভেবে দেখুন, এই তরুণেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়েই চাকরির গৎবাঁধা নিয়মটা কীভাবে ভেঙে দিয়েছে! নয়টা-পাঁচটার ট্রেনের পেছনে না ছুটে চড়ে বসেছে উদ্যোক্তা হবার রোলারকোস্টারে। তিন ইয়াংস্টারের কোম্পানি স্টিক-অন- একটা প্রিন্ট অন ডিমান্ড কোম্পানি, ভার্সিটি পেরিয়ে তাদের নিজ বিনিয়োগে খোলা ব্যবসা। যে বয়সে বাকিরা চাকরি খোঁজার দৌড়ে, তারা তৈরি করছে চাকরির সুযোগ! সাবাশ ছেলেরা!
এরা উদ্যমী-উৎসাহী স্বভাবের, চিনেছেন? দুজনের পরিবার ব্যবসায়ী (মানে উদ্যোক্তা হবার ভূত রক্তেই ছিলো!), আর তৃতীয় জনের বাবা-মা আর্টিস্ট। তারা কঠিন পরিস্থিতির সমাধান বের করার এক্সপার্ট, সফল ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টরা তো এমন মানুষই খোঁজেন, তাইনা? তাদের জন্য আরেকটা প্রশংসা, তাদের এই পরিশ্রমকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত কুলভাবে দেখাচ্ছে!
তাদের একজনের গল্প খুব মনে ধরলো- মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ফ্যামিলির কঠিন আর্থিক অবস্থার ব্যাপারে বুঝতে পারা। এই বয়সে আমাদের অনেকেরই একমাত্র সমস্যা ছিলো ফেইসবুকে কোন প্রোফাইল পিকচার দেবো, মাইস্পেইসের প্রোফাইলে কোন গানটা দেবো- সেটা নিয়ে কনফিউজড থাকা। ব্যাপারটা ভাবায়, তাই না? কিন্তু যাই হোক, কয়লা পুড়েই তো হীরা বের হয়, ঠিক না?
এখন আসি স্টিক-অন দলের সবচেয়ে বড়ো স্টারের গল্পে। কঠিন সময়ে যে সবাইকে এক সূতোয় বেঁধে রাখে- কিয়ো! নাহ, কিয়ো তাদের সিএফও বা মার্কেটিং এর ভিপি না, কিয়ো হচ্ছে তাদের সবচেয়ে কিউট, সবার আদরের বিড়ালছানা। সিরিয়াসলি, কিয়োকে আমাদের মাসকট বানিয়ে ফেলা যায় না? এতো দেখেও মন ভরছে না!
আমাদের এই “ডায়নামিক ট্রায়ো, সাথে তাদের বিড়াল, এখন নেমেছে শার্ক শিকারে (শার্করা ভয় পাবেন না!)। তারা তাদের বড় স্বপ্নকে আরও বড় একটা বুস্ট দিতে মেন্টরের খোঁজে এসেছে। উদ্যোক্তাজীবনের কঠিন সাগরে দক্ষ সাঁতারু এই শার্কদের কাছ থেকে তারা সরাসরি শিখতে চায়।
আমি অধীর হয়ে ওয়েইট করছি তারা কেমন করে সেটা দেখতে, সাথে যদি কিয়োকেও পিচ করতে দেখা যায়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা! দেখা যাবে না বলছেন? আচ্ছা, এখানেই চোখ রাখুন!