সবাই রেডি তো? আজ আমরা যোগ দিচ্ছি সামি আহমেদের রোলারকোস্টার জার্নিতে! যদি এখনও না জানেন তিনি কে, আমিই বলছি। সামি স্টার্টআপ বাংলাদেশ নামক এক বিশাল কোম্পানির ক্যাপ্টেন। এটাও জেনে রাখুন, এই কোম্পানিই বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা পাওয়া দেশের একমাত্র ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড।
৫০০ কোটি টাকার বিশাল ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে ২০২২ সালের মার্চে স্টার্টআপ বাংলাদেশের শুরু, সামি নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২০২২ থেকেই। এমডি এবং সিইও হিসেবে, আলোর গতিতে ইনভেস্ট করে যাচ্ছেন বিভিন্ন স্টার্টআপে। মাত্র আড়াই বছরে, তিনি ৩৫টি কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়েছেন, এবং আরও ১২টি কোম্পানির সাথে আগামীতে যুক্ত হচ্ছেন। আর তাদেরকে কতো টাকা দিয়েছেন বলেছি? পাক্কা একশো কোটি টাকা!
সামির লক্ষ্যটা একদম পরিষ্কার, বাংলাদেশের স্টার্টআপ সংস্কৃতিকে বিদ্যুতের গতিতে আমূলে পালটে ফেলা! আর তিনিই কেন এই কাজের জন্য সবচেয়ে যোগ্য, ভাবছেন? এই প্রখর উদ্যোক্তা আর দশজন ব্যবসায়ীর মত নন। আমেরিকা থেকে অর্জিত সিএসই ডিগ্রি, আর বাংলাদেশ থেকে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে মাস্টার্স- প্রযুক্তি আর সামাজিক উন্নয়নের এই শক্তিশালী মিশেল আর কোথায় পাবেন?
আমাদের এই শার্ক আমেরিকার আয়েশের জীবন ছেড়ে ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নত করতে। দেশপ্রেম তো এটাকেই বলে, ঠিক না (না কি পাগলামি বলবেন? আপনিই বলুন)?
তো উনি আসলে খুঁজছেন টা কী? এমন কোম্পানি, যারা হাড়ভাঙা খাটনির জন্য প্রস্তুত, যারা চাকরির সুযোগ তৈরি করে সমাজে একটা প্রভাব ফেলতে চায়। শোনা যায়, তাঁর টেক-ভিত্তিক কোম্পানির দিকে একটা দুর্বলতা আছে, তাঁর স্বপ্ন আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে পাঁচটা ইউনিকর্ন কোম্পানি দেয়া! উচ্চাভিলাষ? হ্যাঁ ঠিক। কিন্তু এটার কি দরকার আছে? অবশ্যই!
প্রথম এপিসোড দেখে থাকলে বুঝবেন, তাঁর উৎসাহ প্রচণ্ড! তিনি শুধু টাকাই দিচ্ছেন না, সক্রিয়ভাবে কোম্পানিগুলোর সাথে যুক্ত থাকতে চাচ্ছেন। তাঁর পোর্টফোলিওতে দুটো কোম্পানি ঢুকে গেছে, কিন্তু তাঁর ক্ষুধা এখনও প্রবল!
তো, আমাদের এই দারুণ শার্কের জন্য সামনে আর কী আছে? আরও ডিল? আরও ইনভেস্টমেন্ট? সময়ই বলে দেবে। নাইরোবি থেকে কেইপ টাউন, প্যারিস থেকে ঢাকা- সবার চোখ সামি’র ওপর! আর সত্যি বলতে, আমি নিজেও অপেক্ষা করছি দেখতে, এই শার্কের পরের কামড় কোথায় পড়ে!