রূপচর্চা নিয়ে দারুণ প্যাশনেট, পঁচিশ বছর বয়সী নাজনিন আখতার ডালিয়া- তার এই প্যাশনকে ব্যবসায় রূপ দিতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি “বিউটি সল্যুশান” ব্র্যান্ডের “ওয়ান-ওম্যান আর্মি,” একাই সামলে যাচ্ছেন ব্যবসার পুরোটা। আর এবার, ডালিয়া তার পথচলার গল্প আর দুর্দান্ত বিজনেস স্ট্র্যাটেজি দিয়ে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের মঞ্চ কাঁপিয়ে দিয়েছেন! শার্করা এতোটাই মুগ্ধ, যে তার কোম্পানির ৮% ইক্যুইটির বদলে ৫০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করেছেন!
ডালিয়ার “বিউটি সল্যুশান” এর শুরু সেই নয় বছর আগে, ছোট্ট পরিসরে। আর আজ, তিনি তিন তিনটা সফল দোকানের মালিক! এই বয়সের একটা উদ্যোক্তার জন্য এটা কতো বড়ো ব্যাপার, ভাবা যায়? আর এখানেই শেষ না, তার প্রডাক্টের লিস্টে এখন ৬০টারও বেশি বিউটি প্রডাক্ট- সবগুলোই অর্গানিক, ক্ষতিকর কেমিক্যালমুক্ত। তার প্রডাক্ট ক্রেতাদের জন্য নিরাপদ আর কার্যকর হবে, এটাই লক্ষ্য।
এখন যে কথাটা বলবো, আজকের এই ডিজিটাল যুগে সেটা শুনে যে কারও মাথা ঘুরে যাবে! ডালিয়া কখনোই ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করেননি! সত্যি বলছি! তার সেরা মানের প্রডাক্ট, আর লয়্যাল কাস্টমারদের দিয়েই তিনি ব্যবসাকে নিয়ে গেছেন নতুন এক লেভেলে! আর ব্যবসাটা চালাচ্ছেনও সেভাবেই, ৩০% এর বিশাল নেট প্রফিট- বোঝাই যাচ্ছে তার এই ব্র্যান্ড কেমন কাঁপাচ্ছে!
“বিউটি সল্যুশান” এর গোটা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের একটা ১৫০০ স্কয়ারফিটের ফ্যাক্টরিতে। ডালিয়ার এই জায়গাটা নিয়ে একটা বড়ো প্ল্যান আছে। আর সাথে শার্কদের সাহায্য-পরামর্শ মিলিয়ে, তার এই ব্র্যান্ডের আগামী দিনগুলো দারুণ এক্সাইটিং হবে- এটা নিশ্চিত!
ডালিয়ার ব্যবসা নিয়ে আগ্রহ আর প্যাশনই শার্কদের মন জয় করে নিয়েছে। কঠিন পরিশ্রম আর নিজের লক্ষ্য থেকে সরে না আসার এই অদম্য গল্প আমাদেরকেও প্রেরণা দেয়। বাকি সব তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্যও এটা একটা দারুণ উদাহরণ।
নাজনিন আখতার ডালিয়ার এই সাহসী পথচলাই প্রমাণ করে, প্যাশন আর সুস্পষ্ট লক্ষ্য থাকলে, সাফল্য আসবেই। শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের আগামী এপিসোডে আমরা ডালিয়ার মতই আরও উদ্যোক্তা দেখতে চাই, যারা স্বপ্ন দেখতে ভয় পায় না, স্বপ্ন সত্যি করতে হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে ভয় পায় না।
উদ্যোক্তা তরুণীর বিউটি ব্র্যান্ড কাঁপালো শার্ক ট্যাংকের মঞ্চ!
RELATED ARTICLES