গোলাম মুর্শেদ, বাংলাদেশের বিজনেস সেক্টরে এক উঠতি তারকা। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিগ্রি, এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ। তাঁর শিক্ষার ক্ষেত্র তাঁর ক্যারিয়ারের সাফল্যের মতই বৈচিত্র্যময়।
রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক সুপরিচিত পরিবারে জন্ম নেয়া গোলাম মুর্শেদের গল্পের শুরু ২০১০ এ, ওয়ালটনের সাথে। এক দশকের মধ্যেই তাঁর দূরদর্শী চিন্তা, পরিকল্পনা এবং কাজের মধ্য দিয়ে তিনি কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টরে উন্নীত হন।
তিনি ওয়ালটনে যোগ দেয়ার এক বছরের মধ্যে কীভাবে কোম্পানিটির ভ্যালুয়েশান/মূল্যমান ৩.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪.৯ বিলিয়ন ডলার হয়ে গেলো? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন- গোলাম মুর্শেদের স্মার্ট পরিকল্পনা এবং কাজের প্রতি নিবেদন। তাঁর প্রাণচঞ্চল ব্যক্তিত্ব এবং অসাধারণ নেতৃত্বগুণের কারণেই কোম্পানির এই বিকাশ সম্ভব হয়েছে।
তাঁর নেতৃত্বেই, ওয়ালটন “গো গ্লোবাল ব্র্যান্ড” এর স্বীকৃতি পায়। এখানেই শেষ না, তাঁর সময়কালে ওয়ালটন প্রতি বছর বেস্ট ব্র্যান্ডের পুরস্কার জিতেছে। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বের সবচেয়ে ভালো গুণ কী জানেন? তিনি আরও লিডার তৈরি করতে চান। তাঁর লক্ষ্য হচ্ছে তাঁর দলের মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগি করা, আস্থা স্থাপন করা, এবং নেতৃত্বগুণ তৈরি করা।
ব্যবসায়ের বিষয় ছাড়াও, খেলাধুলা গোলাম মুর্শেদের খুবই পছন্দ। ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, ফুটবল, ক্রিকেট- সবই তাঁর প্রিয়। কাজ এবং আনন্দের ভারসাম্য রেখে একটা জীবন কাটানো- এটাই তাঁর চাওয়া।
জানেন তো? গোলাম মুর্শেদের পরবর্তী অ্যাডভেঞ্চার হচ্ছে একজন ইনভেস্টর হিসেবে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশে যোগ দেয়া। তাঁর দৃষ্টি এমন উদ্ভাবনী উদ্যোক্তাদের দিকে, যারা বাংলাদেশের বিজনেস সেক্টরের ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে পারে।
মোটকথায়, গোলাম মুর্শেদ একজন দূরদর্শী বিজনেসম্যান। ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সৃষ্টি করার দর্শন, নিজেকে আরও উন্নত করার ব্যাপারে তাঁর স্পৃহা, তাঁর নানান রকম আগ্রহ- সবমিলিয়ে এই বৈচিত্র্যময় শার্কের দিকে আলাদাভাবে নজর দিতেই হয়। তার উপর এবার শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশে নতুন নতুন উদ্ভাবনী ব্যবসায় তাঁর ইনভেস্ট করার প্রবল ইচ্ছা- তাঁর দিকে আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর ওপর চোখ থাকে যেন, বন্ধুরা!